প্রতিভার অন্বেষণ ও বিকাশ

Author: Admin Category: মতামত Publish At: 2021-03-28 00:00:00

প্রতিভার অন্বেষণ ও বিকাশ

বাংলাদেশে সম্প্রতি একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। আর সেটা হচ্ছে, “দেশে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশী”। কথাটি ব্যঙ্গ করে বলা হলেও একদম অমূলক নয়। অনেক কবি, অনেক কবিতা। কিন্তু মানদন্ডের ন্যুনতম বিচারে সেগুলি পড়ে না। তাই বলে কি দেশে ভাল কবিতা লেখার কবি নেই? আছে, কিন্তু মানহীন লেখার ভিড়ে সেগুলি কারো নজর কাড়তেই পারছে না।

কেউ একবারেই বড় মাপের কবি সাহিত্যিক হয়ে যায়না। কোন চারাগাছ যেমন একদিনে মহীরূহে পরিণত হয় না তেমনি কেউ রাতারাতি বড় মাপের লেখক হয়ে যায় না। লেখক হতে হলে আগে পাঠক হতে হয়। পড়তে হয় প্রচুর। কিন্তু আজকাল পড়তে কেউ চায় না, সবাই লেখক হতে চায়। তবে বর্তমানে মানুষের মধ্যে বই পড়ার একটি অভ্যাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। যা মাঝখানে একদম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বই মেলায় বই বিক্রয় হচ্ছে প্রচুর। কিন্তু এর মধ্যে কবিতার বই বিক্রয় হয় তুলনামূলকভাবে কম। কারণটা শুরুতেই বলেছি। কিন্তু ছোটগল্প, উপন্যাস, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদি বই কমই বের হয়, কিন্তু বিক্রয় হয় ভালই। কিন্তু কেন কম বের হয়? এর একটি বড় কারণ হল ছোটগল্প, উপন্যাস, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদি লিখতে সত্যি মেধা থাকতে হয়, জানতে হয় প্রচুর, পড়াশুনাও থাকা চাই বিস্তর। জ্ঞানের গভীরতা না থাকলে এগুলি লেখা সম্ভব হয় না। এছাড়া এগুলি লিখতে যে পরিমাণ ধৈর্য্য থাকা দরকার, তাও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নেই। কিন্তু হালকা জ্ঞানের অধিকারীরাও মনের একচিলতে আবেগ দিয়ে কয়েকটি কবিতা লিখে ফেলতে পারে ঠিক ওয়ানটাইম প্লেট গ্লাসের মত ওয়ানটাইম কবিতা। যে কবিতা পড়ে বুঝার কিছু থাকে না, ব্যাখ্যারও কিছু থাকে না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থও কিছু থাকে না।

তাই বলে কি বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে প্রতিভা নেই? আছে, প্রতিভা আছে। কপি পেষ্ট প্রতিভা। এর লেখা ওর লেখা কেটেকুটে নিজের লেখা বলে চালিয়ে দেয়া। মৌলিক লেখা খুবই কম। এছাড়া মৌলিক লেখার প্রতিভা বিকাশ হয় মাধ্যমিক পর্যায় থেকে। যারাই বড়মাপের কিছু হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতিভা শৈশব কৈশোরেই দেখা গেছে। বর্তমানে শৈশবে বা কৈশোরে যে সমস্ত প্রতিভা তৈরী হয় তাদের প্রতিভা বিকাশ হওয়ার আগেই ঝড়ে পড়ে। কেননা তাদের প্রতিভার মূল্যায়ণ করা হয় না অথবা তাদের প্রতিভা বিকাশ হওয়ার কোন প্লাটফরম থাকে না। হাল আমলে ফেসবুকে প্রকাশিত হয় কিছু কিছু। কিন্তু ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার যে প্রতিযোগীতা থাকে সেখানে ভালমানের কোন বিষয় ভাইরাল হবে এটা আশা করা বৃথা। ফেসবুকে ভাইরাল হয় গুজব, মিথ্যা ও বানোয়াট কোন কাহিনী, কারো কদর্য কোন ঘটনা, চটকদার, অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ কৌতুক, নানারকম অঙ্গীভঙ্গি, রাজনৈতিক মিথ্যাচার, ধর্মীয় প্রপাগান্ডা ইত্যাদি। মান ও মর্যাদাসম্পন্ন বিষয় কারো চোখে পড়ার আগেই হারিয়ে যায় ফেসবুকের অতল গহীনে। 

www.shikkhafirst.com উদ্ভাবিত শিক্ষা সমাচার হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি সেরকম প্লাটফরম যেখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই পাঠক, শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই লেখক। নিজ প্রতিষ্ঠানের যারা নিজের প্রতিভার উন্মেষ চায় তারা এই প্লাটফরমে লিখবে আর সবাই মিলে তা পড়বে, মূল্যায়ণ করবে। শিক্ষক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকগণও পড়ার সুযোগ পাবে। আর এটি একটি স্থায়ী প্লাটফরম। দীর্ঘদিনেও অধিক লেখার চাপে তা হারিয়ে যাবে না। এখানে কি কি প্রকাশিত হবে তা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলীই নিয়ন্ত্রণ করবেন। এতে যেমন আজেবাজে বিষয় প্রকাশ হবে না তেমনী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিভার বিকাশ ঘটবে।

এখানে আপনি গল্প, কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, ছোটগল্প, অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ কাহিনী, এমন কি মতামতও দিতে পারবেন। একটি প্রতিষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে কিছু কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বেশ মানসম্পন্ন প্রতিভা দেখা যায়। সেই প্রতিভাগুলি যত্ন করলে অনেক বড় হতে পারে। তাদের উৎসাহিত করুন। তাদের লেখা আপনার নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সমাচারে প্রকাশিত হোক। এতে তারা আরো ভাল লেখার অনুপ্রেরণা পাবে। আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকশিত করার দায়িত্ব আপনার। আপনার প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীর প্রতিভার কারণে আপনার প্রতিষ্ঠানেরও সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

এই শিক্ষা সমাচার প্লাটফরমটি পেতে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক। কারণ নিজস্ব ওয়েবসাইট না থাকলে আপনি প্লাটফরমটি শিক্ষার্থীদের দিতে পারবেন না। তাই একটি ওয়েবসাইট খুলে নিন। আর চালু করুন প্রতিভা বিকাশের অনন্য একটি প্লাটফরম শিক্ষা সমাচার। তবে কেউ যদি সাইট না খুলেই লেখা প্রকাশ করতে চান তাহলেও সম্ভব। সেক্ষেত্রে আপনাকে লেখাটি ইউনিকোড বাংলায় কম্পোজ করে shikkhafirst@gmail.com নামক ইমেইলে প্রেরণ করতে হবে। লেখার সাথে অবশ্যই আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল, নম্বর, NID নম্বর এবং এককপি ছবি পাঠাতে ভুলবেন না। কারণ লেখাটি যে আপনার মৌলিক এবং নিজস্ব মেধাপ্রসূত লেখা তা যাচাই করেই প্রকাশ করা হবে। আর লেখার সাথে আপনার নাম, মোবাইল নম্বর ছবি যুক্ত করেই তা প্রকাশ করা হবে।

বিস্তারিত জানতে চাইলে shikkhafirst.com/13177 সাইটটিতে প্রবেশ করে শিক্ষা সমাচার ভিজিট করুন। এরকম একটি সাইট আপনিও খুলতে পারেন আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য। এরপরেও সরাসরি জানতে চাইল নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।

মোঃ ইউসুফ আলী

পরিচালক

টুমরো কম্পিউটার ইন্সটিটিউট

উপজেলা রোড, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।

shikkhafirst.com/13177

০১৭১৮০৭৫৯০৩